১৬) ইউরোঃ ইউরো একটি মূদ্রার নাম। এটি কোন একক দেশের মূদ্রার নাম নয়।
ই, ই, সি ভুত্তু ১৫ টি সদস্য দেশের মধ্যে
১২ টি দেশের অভিন্ন একটি মূদ্রা যা ১৯৯১ সালে স্বাক্ষরিত মাসট্রিখট চুত্তিু
অনুযায়ী ১৯৯৯ সালের ১ লা জানুয়ারীতে আতণপ্রকাশ ঘটে এবং ২০০২ সালে নোট ও মূদ্রা
আকারে এটি বাজারে চালু হয়। ইউরো মূদ্রার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ
ক) ইউরোপীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনীতি শত্তিুশালী
করা।
খ) ব্যবসা-বাণিজ্য খরচ হ্রাস করা।
গ) ইউরোপীয় দেশগুলোতে শুল্কমূত্তু বাজার সৃষ্টি ও
বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা ।
ঘ) অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করা এবং পণ্যবাজার
বৃদ্ধি করা।
ঙ) ইউরোপীয় দেশগুলোর শত্তিু বৃদ্ধি করা এবং পুঁজি
বাজার সৃষ্টি করা।
১৭) ল্যানঃ এক বা একাধিক
প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় সাধন ও গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একই ভবন, পাশাপাশি
অবসিহত ভবন অথবা একই ক্যাম্পাসে অবসিহত কম্পিউটারসমূহের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক বা
আমতঃসংযোগ গড়ে তোলা হয় তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়।
যখন কোন ব্যাংকের শাখা
বা প্রধান কার্যালয়ের কোন বিভাগের বিভিন্ন সেকশনের পিসি সমূহকে ওয়্যারের মাধ্যমে
কিংবা ওয়্যার বিহীনভাবে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয় তখন ঐ সহানে লোকাল এরিয়া
নেটওয়ার্ক করা হয়েছে বলে বুঝায়।
ল্যান এর বৈশিষ্ট্যঃ
ক) ক্ষুদ্র অঞ্চলের
মধ্যে ল্যান এর পরিব্যপ্তি সীমাবদ্ধ থাকে।
খ) ল্যান এ হাই
ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের কারণে দ্রতত তথ্য পরিবহন সম্ভব হয়।
গ) ল্যান এর উপাত্ত
পরিবহনের হার সাধারণত ১ মেগাবাইট/সেকেন্ড থেকে ১০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড হতে পারে।
ঘ) একটি একক সিরিয়াল
পরিবহন পথে ল্যান সংযোগ সহাপন করা হয়।
ঙ) সম্পূর্ণ স্বাধীন
সিস্টেমসমূহের মধ্যে ল্যান সংযোগ সহাপন করা হয়।
চ) ব্যবহারকারী ল্যান
ত্রুয়, সহাপন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে ।
১৮) নন পারফরমিং এ্যাসেটঃ সাধারণতঃ ব্যবসা বা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হতে আয় সৃষ্টি হবে এটাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশা
করে থাকে। কিমও বাসতবে দেখা যায় সব ধরণের সম্পদ আয় অর্জনে সক্ষম হয় না। যে সম্পদ
ব্যবসায়িক কর্মকান্ড সম্পাদন করে না এবং কোন আয় উৎপন্ন করে না তাকেই নন পারফরমিং
এ্যাসেট বলা হয়।
আয়
অর্জনের সক্ষমতার উপর নির্ভর করে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সম্পদকে প্রধানতঃ দুই ভাগে
ভাগ করা যায়। যথা- পারফরমিং এ্যাসেট ও নন পারফরমিং এ্যাসেট। এখানে পারফরমিং
এ্যাসেট বলতে অশ্রেণীকৃত ঋণ ও নন পারফরমিং এ্যাসেট বলতে শ্রেণীকৃত ঋণকে বুঝানো হয়। ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালা মোতাবেক
নন পারফরমিং এ্যাসেট অর্থাৎ, শ্রেণীকৃত ঋণের সুদ আয় খাতে অমর্তভূত্তু হয় না।
পক্ষামতরে, ব্যাংকের আমানতকারী কিংবা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত হারে ব্যাংক
কর্তৃক সুদ প্রদান করতে হয়। তাই নন পারফরমিং এ্যাসেট ব্যাংকিং ব্যবসায় নেতিবাচক
প্রভাব পড়ে। এছাড়াও ঋণ শ্রেণীবিন্যাস নীতিমালা মোতাবেক শ্যেণীবিন্যাসিত ঋণের
সিহতির উপর নির্ধারিত হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। শ্রেণীকৃত ঋণের উপর প্রভিশনের
হার অশ্রেণীকৃত ঋণের তুলনায় অনেক বেশি। স্বভাবতই এতে ব্যাংকের লোকসান বৃদ্ধি পায়
এবং আয়ের উপর বিরদপ প্রভাব পড়ে।
No comments:
Post a Comment