১৩) নিস্ক্রিয় হিসাব (ডরম্যান্ট এ্যাকাউন্ট): গ্রাহক বা হিসাবধারী
কর্তৃক তার হিসাব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যমত লেনদেন বিহীন অবসহায় থাকলে তাকে
নিস্ক্রিয় হিসাব নামে চিহিুত করা হয়। চলতি হিসাবের ক্ষেত্রে ৬ মাস এবং সঞ্চয়
হিসাবের ক্ষেত্রে ২ বৎসর যাবৎ যদি হিসাবটি লেনদেন বিহীন অবসহায় থাকে সে ক্ষেত্রে
হিসাবের খাতায় সাবধান নিস্ক্রিয় হিসাব লিখে রাখতে হবে।
ব্যবসহাপকের অনুমতি ব্যতিত
নিস্ক্রিয় হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করা যায় না। কেননা গ্রাহকে স্বাক্ষর সম্পর্কে
ব্যবসহাপকের সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত হতে হয়। স্বাক্ষর সম্পর্কে নিশ্চিত হবার পর
পরবর্তী লেনদেন সমূহ স্বাভাবিকভাবেই চলতে পারবে।
১৪) ভাসমান চার্জঃ ভাসমান চার্জ হচ্ছে এমন
এক ধরনের চার্জ যা কোন কোম্পানী উহার সম্পত্তির উপর প্রদান করে। ইহা অনেকাংশে
নিরপেক্ষ চার্জের মত। এই চার্জ নির্দিষ্ট কোন সময়ের জন্য সম্পূর্ণ বা আংশিক
সম্পত্তির উপর চলমান ধারণা নিয়ে আরোপিত হয়। ইহা এমনভাবে প্রদান করা হয় যে, মেয়াদ
পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যমত যে কোন চার্জকৃত সম্পত্তির পরিচালনা কোম্পানীর সাধারণ
ব্যবসা কালে করতে পারে। ভাসমান চার্জ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
। উল্লেখ্য যে, এ চার্জ ভাসমান চার্জ বলে ইহা সুপ্ত থাকে।
১৫) চলতি মূলধন বা কার্যকরী মূলধনঃ সাধারণ ব্যবসায়ের নিয়মিত কর্মকান্ডে যে মুলধন কার্যরত থাকে তাকেই চলতি মূলধন বলে। তবে নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়ী সম্পত্তি ত্রুয়ের পর ব্যবসায়িক কার্য পরিচালনার জন্য যে অর্থ হাতে থাকে তাহাই চলতি মূলধন। আর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চলতি দায় অপেক্ষা চলতি সম্পত্তির যে উদ্বৃত্ত থাকে তাহাই চলতি মূলধন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কার্যকরী মূলধন= চলতি সম্পত্তি-চলতি দায়। চলতি সম্পত্তি বলতে ঐ সকল সম্পত্তিকে বোঝায় যা সহজেই অর্থে পরিণত করা যায় বা শীঘ্রই অর্থে পরিণত হবে, যেমন নগদ অর্থ, মজুদ পণ্য, দেনাদার, প্রাপ্য বিল, অগ্রীম খরচ, অনাদায়ী পাওনা ইত্যাদি। একইভাবে চলতি দায় বলতে এমন দায় বোঝায় যা শীঘ্র পরিশোধ করতে হবে। যেমন-পাওনাদার, দেয় বিল, ব্যাংক ওভার ড্রাফট, বকেয়া দায়সমূহ, অগ্রীম আয় ইত্যাদি।
একটি প্রতিষ্ঠানের চলতি
মূলধনের পরিমান তার অর্থনৈতিক অবসহার সূচক। চলতি মূলধন বেশি হলে প্রতিষ্ঠানের
অর্থনৈতিক অবসহান মজবুত বলে ধরা হয়।
No comments:
Post a Comment