২২) ইস্যুড ক্যাপিটাল(বিলিযোগ্য মূলধন)ঃ অনুমোদিত মূলধনের যে অংশ
জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বিত্রিুর জন্য ছাড়া হয় তাকে বিলিযোগ্য মূলধন বলা হয়। ভেন্ডর,
উদ্যোত্তু ও পরিচালকদের যে শেয়ার বরাদ্দ করা হয় তাও বিলিযোগ্য মূলধনের
অমতর্ভূত্তু। বিলিযোগ্য মূলদন অনুমোদিত মূলধনের সমান হতে পারে কিমত কখনই তা ছাড়িয়ে
যেতে পারে না। বিলিযোগ্য মূলধনকে নিবন্ধিত মূলধনও বলা হয়।
২৩) সাবস্ক্রাইবড ক্যাপিটাল (বিলিকৃত মূলধন): একটি কোম্পানীর
বিলিযোগ্য মূলধন অর্থাৎ মোট অনুমোদিত মূলধনের যে অংশ সাধারনের বিত্রিুর জন্য শেয়ার
হিসেবে ছাড়া হয় তার পুরোটাই বিত্রিু হতে পারে আবার কিছুটা অবিত্রিুত থাকতে পারে।
বিলিযোগ্য মূলধনের বিত্রিু হয়ে যাওয়া পরিমানকে অর্থাৎ জনসাধারণকে প্রদত্ত শেয়ার
এবং ভেন্ডর, উদ্যোত্তুা ও পরিচালকগণের বরাদ্দকৃত শেয়ারের মোট পরিমানকে বিলিকৃত মূলধন
বলে। বিলিকৃত মূলধন অনেক সময়ই এক সংগে সম্পূর্ণভাবে আদায় করা হয় না। যদি শেয়ার
মালিকদের প্রদেয় অর্থ বিভিন্ন কিসিততে দেবার অনুরোধ করে কোম্পানী বিলিকৃত মূলধনের
কোন অংশ নির্ধারিত প্রাপ্য হিসেবে ঘোষণা করেন তবে সে অংশকে তলবকৃত মূলধন বলে। অপর
যে অংশ দেবার জন্যে শেয়ার মালিকদের এখনও বলা হয়নি তাকে অতলবকৃত মূলধন বলে।
২৪) মার্চেন্ট ব্যাংকিংঃ দেশের মূলধন বাজারে
প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সমসত
ব্যাংক খোলা অনুমোদন প্রদান করেন তাকে মার্চেন্ট ব্যাংক বলে। মার্চেন্ট ব্যাংক
খোলার পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পুঁজি বাজার
সংত্রুামত পৃথক ইউনিট ব্যবসহাপনা এবং তাদের প্রয়োজনীয় জনবল থাকতে হবে। এছাড়াও
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক ঋণ খেলাপী থাকতে পারবে না। উন্নত মার্চেন্ট
ব্যাংকগুলি দেশে পুঁজি বিনিয়োগের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে চলেছে। আভিধানিক অর্থে
মার্চেন্ট ব্যাংকিং হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা অবলিখন করে থাকে, যৌথভাবে ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান সহাপনের জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ প্রদান করে।
মার্চেন্ট ব্যাংক মূলধন
বাজারকে জাগ্রত করার জন্য যে কাজগুলো করে থাকে সেগুলি হচ্ছে ক) ইস্যু ম্যানেজমেন্ট
খ) ত্রেুডিট সিন্ডিকেট গ) ইজারা ঘ) কর্পোরেট বডিকে উপদেশ প্রদান ঙ) পোর্ট ফলিও
ম্যানেজমেন্ট চ) মিউচুয়াল ফান্ড ছ) ত্রুয়কৃত চুত্তিু স্কীম ছ) প্রাথমিক মূলধন।
No comments:
Post a Comment