২৫) অবলিখনঃ কোন কোম্পানী শেয়ার
ইস্যুর পর তার ইস্যুকৃত সব শেয়ারের জন্য আবেদনপত্র না পড়লে এবং সে কারণে শেয়ার
অবিত্রিুত রয়ে গেলে এই সব অবিত্রিুত শেয়ার কিনে নেয়ার আগমন নিশ্চিতাদানের কাজকে
অবলিখন বলে। অবলিখনকারী সংসহা একটি নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে এই কাজ করে থাকে
এবং এই সংসহাও শেয়ারগুলি সহায়ীভাবে গ্রহণ করে না সময় ও সুযোগমত পরবর্তীতে বাজার বিত্রিু
করে দেয়। অবশ্য কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংক, বীমা কোম্পানী বা বিশেষ প্রতিষ্ঠানসমূহ
অবলিখনের মাধ্যমে শেয়ার ত্রুয়ের পর নিজেদের সহায়ী সম্পদ বৃদ্ধির জন্যও শেয়ারসমূহের
অংশ ধরে রাখে। অবলিখন সুবিধা থাকলে নতুন কোম্পানীসমূহের জন্যে বাজার শেয়ার ইস্যুর
ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমে আসে এবং এই সুবিধা পুঁজি বাজার গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সংসহা অবলিখন এর কাজ করে থাকে। এসবের মধ্যে বিনিয়োগ সংসহা(আই সি
বি), বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ, বীমা কর্পোরেশন ও স্টক দালাল উল্লেখযোগ্য।
২৬) সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্সঃ অনেক সময় দেখা যায় একক
কোন কোম্পানী বৃহৎ আকারে কাজ করতে গিয়ে অনেক মূলধন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।
এক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকিং ঝুঁকি ও মূলধন হ্রাস করার নিমিত্তে মূলধন কয়েকটি
কোম্পানীর মধ্য হতে সংগ্রহ করে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য সহায়তা করে।
মূলতঃ এটিকেই ত্রেুডিট সিন্ডিকেট বা সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্স বলে। এই প্রেক্ষিতে সে
আইনগত ভূমিকা অবলম্বন করে এবং কিছু কমিশন প্রাপ্ত হয়।
২৭) অফশোর ব্যাংকিংঃ অফশোর ব্যাংকিং
আমতর্জাতিক মুদ্রা বাজারের সাথে সম্পৃত্তু এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবসহা যে ব্যাংকিং
ব্যবসহায় বিদেশী সূত্র হতে বৈদেশিক মুদ্রায় তহবিল সৃষ্টি হয় এবং দেশীয় আইন কানুনের
বাহিরে আলাদা আইন কানুনের মাধ্যমে পরিচালিত ও হিসাব সংরক্ষণ করা হয় তাকে অফশোর
ব্যাংকিং বলে।
অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট
মূলতঃ অফশোর ব্যাংকিং জোনে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই জোন মুত্তু বাণিজ্য জোনের মতোই
যার মাধ্যমে মুত্তু বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধা আহরণ করা সম্ভব হয়।
সাধারণ বাণিজ্যিক
ব্যাংকগুলোর ব্যবসার পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকের ব্যবসা পরিচালনা করা যেতে পারে।
সাধারণ ব্যাংকগুলোর মত আমানত গ্রহণ ও ঋণ প্রদান অফশোর ব্যাংকিং এর কার্যত্রুম হলেও
এই জাতীয় ব্যাংকের আমানত এবং ঋণ প্রদান দুটিই যথাত্রুমে বৈদেশিক সূত্র হতে আগমন ও
বিদেশসহ গ্রাহকের অনুকূলে প্রদান করা হয়। অর্থাৎ এই জাতীয় ব্যাংকের কার্যকলাপ
শুধুমাত্র অনাবাসীদের মধ্যেই আবৃত থাকে।
সাধারণত কোন দেশের সরকার
যখন বিদেশী ব্যাংকিং এর সুযোগ সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে কর রেয়াত, মুনাফা প্রেরণে
নমনীয়তা, কম মূলধনের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদানের ঘোষণা করে
তখন কোন বিদেশী ব্যাংক প্ররোচিত হয়ে তার কোন অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট সে দেশে সহাপন
করে।
No comments:
Post a Comment