অর্থসংস্থানকারী বিল, অথরাইজড ক্যাপিটাল, এসিড টেস্ট অনুপাত, ব্যাক টু ব্যাক ত্রেুডিট, সম্ভাব্য দায়, ও নগদ প্রবাহ সম্পর্কে টিকা লিখুন - Banking Diploma Education

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Sunday, March 1, 2015

অর্থসংস্থানকারী বিল, অথরাইজড ক্যাপিটাল, এসিড টেস্ট অনুপাত, ব্যাক টু ব্যাক ত্রেুডিট, সম্ভাব্য দায়, ও নগদ প্রবাহ সম্পর্কে টিকা লিখুন

১)  অর্থসংস্থানকারী বিলঃ কোন দেনার অবর্তমানে কোন প্রতিদান ছাড়াই অন্য কোন ব্যত্তিকে সাময়িকভাবে আর্থিক সাহায্য প্রদান করার জন্য যে লিখিত স্বীকৃত বা সত্ত্বান্তরিত হয় তাকে অর্থসংস্থানকারী বিল বলে।আর্থিক সুবিধা দানের জন্য সাধারণতঃ এ বিল তৈরি করা হয়। এরূপ বিল পাবার পর গ্রাহক উক্ত বিল ব্যাংকের নিকট বাট্রার বিনিময়ে ভাঙ্গিয়ে নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। মেয়াদ শেষ হলে গ্রাহক বিলের স্বীকারকারীকে বিল এর অর্থ ফেরত দেয় এবং বিলে স্বীকারকারী উক্ত বিল পরিশোধ করে দেন। বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় উভয় পক্ষই পরস্পরের উপর বিল লিখে থাকেন। এতে উভয়ের আর্থিক সাহায্য ঘটে। এজন্য একে সাহায্যকারী বিলও বলা হয়। 

২)  অথরাইজড ক্যাপিটালঃ একটি কোম্পানী নিবন্ধন লাভের সময় মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন সর্বোচ্চ যে পরিমান শেয়ার মূলধন নির্ধারণ করে থাকে তাকে কোম্পানীর অনুমোদিত মূলধন বলে। অনুমোদিত মূলধনের অর্থ হচ্ছে কোম্পানীর জন্য উক্ত পরিমান মূলধন সংগ্রহের অনুমতি পাওয়া। উল্লেখ্য যে, কোম্পানী একবারে এই মূলধন সংগ্রহ করে না, বিভিন্ন সময়ে শেয়ার ছেড়ে ধাপে ধাপে তা সংগ্রহ করা হয়। অনুমোদিত মূলধনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য এই যে, কোম্পানী সম্প্রসারণের প্রয়োজনে এটি বাড়ানো যায়। তবে তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। অনুমোদিত মূলধনকে নামিক মূলধন নামে অভিহিত করা হয়। 

৩)  এসিড টেস্ট অনুপাতঃ বিকল্পভাবে কুইক রেশিও নামে পরিচিত এই অনুপাতে একটি কোম্পানীর তারল্য যাচাই এর জন্যে ব্যবহদত হয়। এই অনুপাতটি নির্ধারণের জন্য নিমণলিখিত সূত্রটি প্রয়োগ করা হয়ঃ

তড়িৎ অনুপাত = সহজলভ্য(তড়িৎ) সম্পদের পরিমান/ চলতি দায়সমূহ।

এখানে সহজলভ্য সম্পদ বলতে চলতি সম্পদসমূহ থেকে মজুত মালামালের পরিমান বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সম্পদকে বোঝানো হয়েছে।

এই অনুপাত চলতি অনুপাতের চেয়ে অধিকতর সমেতাষজনক ব্যবসায়ের তারল্য প্রকাশ করে। কেননা তড়িৎ অনুপাত থেকে ব্যবসায়ের মালামাল বিত্রিু না করেই তার চলতি দায় পরিশোধ ক্ষমতা বোঝা যায়। সাধারনতঃ ১০০% বা ১ঃ১ কে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য আদর্শ তড়িৎ অনুপাত হিসাবে ধরা হয়। ১০০% এর কম হলে তরল পরিসম্পদে ঘাটতি প্রকাশ করে আবার বেশি হলে ব্যবসায় সাফল্যের চাইতে তরল  পরিসম্পদের অলসভাবে পড়ে থাকাকেই বেশি করে নির্দেশ করে।



৪)  ব্যাক টু ব্যাক ত্রেুডিটঃ পণ্য আমদানীকারক কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়পত্রকে সহযোগী জামানত হিসাবে গ্রহণপূর্বক পণ্য সরবরাহকারীর অনুকূলে অতিরিত্তু ঋণপত্র ইস্যু বা প্রদান করার নিমিত্তে রপ্তানীকারক এ্যাডভাইজিং ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংককে অনুরোধ করতে পারেন। অতিরিত্তু প্রত্যয়পত্র প্রাপ্তির বিনিময়ে প্রথম ইস্যুকৃত প্রত্যয়পত্রকে সহযোগী জামানত হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন তাকে ব্যাক টু ব্যাক ত্রেুডিট বলা হয়।
রপ্তানী বিলের বিনিময়ে ব্যাক টু ব্যাক ত্রেুডিট ঋণপত্র খোলা যেতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে মূল রপ্তানী বিলের ডকুমেন্ট লিয়েন(জামানত) রেখে ঋণপত্র খুলতে হয়।
এ ধরণের ঋণপত্রের সুবিধাসমূহ হচ্ছেঃ
ক)  এরদপ ঋণপত্রের মূল্য এবং জাহাজীকরণের তারিখ কোনটাই মূল রপ্তানীর তারিখ অতিত্রুম করতে পারে না।
খ)  এই ব্যবসহায় ব্যাংকের সুবিধা হলো, যেহেতু রপ্তানী বিলের বিনিময়ে ঋণপত্র খোলা হয় তাই রপ্তানীর মূল্য পরিশোধের সাথে সাথে তার দায় পরিশোধের সম্ভাবনা থাকে।
গ)  যদি ত্রেুতা মালপত্র গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে চুত্তিু অনুসারে নির্দিষ্ট মেয়াদামেত ব্যাংক তার টাকা বিদেশী ব্যাংক থেকে ঋণ করে নিতে পারে।
ঘ)  ব্যাক টু ব্যাক ত্রেুডিট এর অপর আর একটি সুবিধা হলো এতে সরাসরি অর্থ প্রদান না করে ভবিষ্যতে প্রদানের আশ্বাস সৃষ্টি হয়।

৫)  সম্ভাব্য দায়ঃ সম্ভাব্য দায় বলতে ঐ সমসত দায়কে বুঝানো হয় যা এখনও সৃষ্টি হয় নাই অথচ ভবিষ্যতে সৃষ্টি হতে পারে। যেমন কোন দায় দেনার জন্য ব্যাংকের বিরতদ্ধে কোর্ট ডিত্রিু জারী করায় ব্যাংকের বিরতদ্ধে উচ্চতর আদালতে  আপিল করেছে। অর্থাৎ দায় এখনও নিষ্পত্তি হয়নি, তবে দায় সৃষ্টি হবার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি। ভবিষ্যতে এ দায় সৃষ্টি হতে পারে বলে ব্যাংক এই প্রকার দায়কে সিহতিপত্রের পার্শ্বে নোটে লিখে রাখে।
সম্ভাব্য দায়সমূহের মধ্যে বাট্রার অধীনে বিল, সীমাবদ্ধ কোম্পানীর আদায়যোগ্য শেয়ার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ইহা ছাড়াও ব্যাংকের বিপরীতে গ্রাহকের দাবী বা ঋণ হিসাবে স্বীকার করা হয় নাই, পরিচালক বা ব্যাংকের পক্ষে প্রদত্ত গ্যারান্টি, ফরোয়ার্ড বিনিময় চুত্তিুর দায় ইত্যাদিও সম্ভাব্য দায় বিশেষ।

৬)  নগদ প্রবাহঃ এই প্রবাহ বিবরণীর মাধ্যমে কারবারের নগদ অর্থের চলাচল দেখানো হয়। এই প্রবাহে কারবারে আয় ও ব্যয় খাতে নগদ অর্থের আগমন ও নির্গমন হয়ে থাকে। যখন অর্থের আগমন হয় তখন তাকে বলে অর্থের আমতপ্রবাহ আর যখন অর্থ ব্যয় হয় তখন তাকে বলে অর্থের বহিঃপ্রবাহ। এই দুই প্রবাহের মধ্যে যা পার্থক্য থাকে তাকে বলে নগদ প্রবাহ। যদি নগদ প্রবাহের আগমন বেশি থাকে তখন বলা যায় কারবারের অবসহা ভালো।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad