কোনো প্রতিষ্ঠানে হিসাববিজ্ঞানের
ভূমিকাঃ আধুনিক হিসাববিজ্ঞান ব্যবসায়ের সঙ্গে
জড়িত সঠিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা লেনদেন লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে
হিসাববিজ্ঞান যেসব ভূমিকা পালন করে তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
(১) সিদ্ধান্ত গ্রহণে
ভূমিকাঃ হিসাববিজ্ঞানের একটি ভূমিকা হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকা। সিদ্ধান্ত
গ্রহণ প্রক্রিয়া হলো সম্ভাব্য বিকল্পসমূহ থেকে সর্বোত্তম বিকল্পটি বেছে নেওয়া।
এক্ষেত্রে ‘কার্য নির্বাচন’ ও ‘তথ্য নির্বাচন’ এ দুটি সিদ্ধান্ত যাচাই করতে হয়।
(২) ব্যবস্থাপনার সহায়ক
হিসেবে ভূমিকাঃ এ ভূমিকা পালনের জন্য হিসাববিজ্ঞানের কাজ মূলত দু’টি। যথাঃ- (ক) মনোযোগ নির্দেশ এবং (খ) সমস্যা সমাধান।
(৩) বিনিয়োগকারীদের জন্য
ভূমিকাঃ একজন বিনিয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন কি-না তৎসম্পর্কে
সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে বিনিয়োগ সুযোগ বিশ্লেষণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের
হিসাব সংক্রান্ত তথ্যের প্রয়োজন হয়। হিসাববিজ্ঞান এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ
করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
(৪) পরিকল্পনা প্রণয়নে
ভূমিকাঃ পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান যথার্থ তথ্য ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করে ব্যবস্থাপকের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(৫) নিয়ন্ত্রণমূলক ভূমিকাঃ
বাজেট নিয়ন্ত্রণ, ব্যয় হিসাব ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবসায়ের
গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা আরোপের ক্ষেত্রে
হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(৬) মালিকানা স্বার্থ
সংরক্ষণে ভূমিকাঃ হিসাববিজ্ঞান একটি আর্থিক পদ্ধতির সাহায্যে ব্যবসায়ের সঠিক তথ্য
মালিকানা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপনের মাধ্যমে মালিকানা স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা
পালন করে থাকে।
No comments:
Post a Comment