Define accountant and also discuss the importance of accountant - Banking Diploma Education

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Saturday, February 28, 2015

Define accountant and also discuss the importance of accountant

১। হিসাববিজ্ঞান কি? ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের সুবিধা বা উপকারিতাসমূহ আলোচনা করুন ।
হিসাববিজ্ঞানঃ হিসাববলতে বুঝায় কোন বিষয় সম্বন্ধে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য এবং বিজ্ঞানবলতে বুঝায় কোন বিষয় সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান বা কোন বিষয়ের পরীক্ষিত সত্যতাকে। সুতরাং, হিসাববিজ্ঞান হলো হিসাব তথ্যের বিজ্ঞান
কোন প্রতিষ্ঠানের কোন সময়কালে সংঘটিত আর্থিক লেনদেনসমূহ লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে সেগুলোর সামগ্রিক ফলাফল ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা নির্ণয় এবং পর্যালোচনা করে সবগুলো তথ্য ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছিয়ে দেওয়ার পদ্ধতিকে হিসাববিজ্ঞান বলা হয়।
অর্থাৎ, একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক উপাত্তসমূহের লিপিবদ্ধকরণ, শ্রেণীবদ্ধকরণ, প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং উহার বিশ্লেষণের কৌশলই হলো হিসাববিজ্ঞান।

ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের সুবিধা বা উপকারিতাসমূহঃ ব্যাংক গ্রাহকের আস্থা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ব্যবসা করে। তাই সঠিক হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে ব্যাংক জনগণের আস্থা অর্জন করে।
ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের উপকারিতা বা সুবিধাসমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ
১। স্থায়ী হিসাবকরণঃ ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন সকল লেনদেনসমূহকে হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে স্থায়ী ও সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এ রক্ষিত হিসাব ভবিষ্যতে উৎস হিসেবে কাজ করে।
২। আমানতকারীদের তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদানঃ ব্যাংকিং তহবিলের মূল উৎস আমানতকারীগণ। তাদের আস্থার উপর ব্যাংকের সাফল্য নির্ভরশীল। সঠিক হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে আমানতকারীদের হিসাবের সর্বশেষ তথ্য প্রদান করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
৩। অগ্রিম গ্রহণকারীদের হিসাবরক্ষণঃ হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে অগ্রিম বা ঋণগ্রহণকারীদের হিসাব সঠিকভাবে রাখা যায়। ফলে ব্যাংকের মূল আয় সুদ প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
৪। লাভ-ক্ষতি নির্ণয়ঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা এক বছরে ব্যাংক কী পরিমাণ লাভ করলো বা ক্ষতির সম্মুখীন হলো তা হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে জানা যায়।
৫। আর্থিক অবস্থাঃ একটি নির্দিষ্ট দিনে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা অর্থাৎ দায় ও সম্পত্তির অবস্থা একমাত্র হিসাববিজ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমেই জানা যায়।
৬। জালিয়াতি রোধঃ জালিয়াতি ব্যাংকিং ব্যবসায়ের সুনাম নষ্ট করে। হিসাববিজ্ঞানের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে জালিয়াতি রোধ করা যায়।
৭। সুদ ও বাট্টার হিসাবঃ হিসাববিজ্ঞানের কৌশল অবলম্বন করে হিসাবকালের জন্য অর্জিত সুদ ও বাট্টার হিসাব করা হয়।
৮। ব্যয় নিয়ন্ত্রণঃ ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রতিটি ব্যাংককে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়। হিসাববিজ্ঞানের কৌশল অবলম্বন করে এই খরচ হিসাবভুক্ত করা হয় এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৯। প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহারঃ আইনগত প্রয়োজনে রক্ষিত হিসাব প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad