Tuesday, March 10, 2015

অর্থ সরবরাহের সংজ্ঞা দিন। ‘‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মুদ্রা’’ এবং ‘‘ব্যাপক মুদ্রার’’ মধ্যে পার্থক্য কি? একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিভাবে অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?




অর্থ সরবরাহের সংজ্ঞা দিন। ‘‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মুদ্রা’’ এবং ‘‘ব্যাপক মুদ্রার’’ মধ্যে পার্থক্য কি? একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিভাবে অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? নভেম্বর-২০১০ 


মুদ্রানীতির হাতিয়ারসমূহ অথবা মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণঃ 
খোলাবাজার কর্মকান্ডঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ঋণপত্র ক্রয়-বিক্রয়কে খোলাবাজার কর্মকান্ড বলে। এই হাতিয়ারের সাহায্যে কেন্দ্রীয় ব্রাংক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন ঋণপত্র ক্রয় করে তখন বাণিজ্যিক ব্রাংক সমূহের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ বাড়ে। আর এই রিজার্ভ হচ্ছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মুদ্রার প্রধা্ন অংশ। উল্লেখ্য যে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মুদ্রাকে আর্থিক ভিত্তি বলা হয় এবং তা বাড়লে ব্যাংক সমূহের আমানত বাড়ে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন ঋণপত্র বিক্রয়করে তখন আর্থিক ভিত্তি হ্রাস পায় এবং ব্যাংক সমূহের ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে মুদ্রার পরিমাণ সংকোচিত হয়।

ব্যাংক হার পরিবর্তনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ দেয় সে হারকে ব্যাংক হার বলে। ব্যাংক হার বাড়ালে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ দান হ্রাস পায়। ফলে মুদ্রার স্টক হ্রাস পায়। আবার ব্যাংক হার কমালে বাণিজ্যিক ব্রাংক সমূহের ঋণদান ক্ষমতা বাড়ে।

রিজার্ভ হার পরিবর্তনঃ বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানতের কত শতাংশ রিজার্ভ রাখবে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারণ করে। এ রিজার্ভ হার বাড়িয়ে দিলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ দা ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে মুদ্রার যোগান হ্রাস পায়। আবার রিজার্ভ হার কমিয়ে দিলে মুদ্রার যোগান বাড়ে।

কারেন্সী নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক উস্যুকৃত নোটের পরিমাণ পরিবর্তন করে মোট অর্থের স্টক পরিবর্তন করা যায়। কারণ কেন্দ্রীয় ব্রাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোট সমূহ আর্থিক ভিত্তির উপাদান।

উপরোক্ত হাতিয়ার ছাড়াও নৈতিক চাপ, ঋণ রেশনিং ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে আর্থিক কর্তৃপক্ষ মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

No comments:

Post a Comment