১) ফরেন এক্সচেঞ্জ ও
ফরেন ট্রেড এর মধ্যে সম্পর্ক কি? কি কি ক্ষেত্রে ফরেন এক্সচেঞ্জ লেনদেনের উদ্ভব
ঘটে?
ফরেন ট্রেড যেমন অর্থনীতির একটি অংশ ফরেন
এক্সচেঞ্জও তেমনি এ বাণিজ্যের গুরতত্বপূর্ণ চারণক্ষেত্র। ফরেন ট্রেডের সাথে ফরেন
এক্সচেঞ্জের সম্পর্ক অত্যমত নিবিড়। আমতর্জাতিক বাণিজ্য যেমন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি
পাচ্ছে তেমনি আমতর্জাতিক বিনিময় ব্যবসহাও তার সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের
মাধ্যমে লেনদেনের পথ সুগম করে চলেছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ বা আমতর্জাতিক বিনিময় ব্যবসহা গড়ে
তুলেছে মূলত আমতর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে। পৃথিবীব্যাপী আমদানী
এবং রপ্তানীকারক, বহুজাতিক কোম্পানী, সরকারী সংসহা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আমতর্জাতিক
ও আঞ্চলিক সংসহা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দৈনন্দিন লেনদেন সম্পন্ন করতে
হরেক রকমের মুদ্রায় পাওনা আদায় বা দেনা পরিশোধ করে। এর ফলে উদ্ভূত হচ্ছে বৈদেশিক
মুদ্রায় লেনদেন।
ফরেন ট্রেডে ফরেন এক্সচেঞ্জের ভূমিকা এবং গুরতত্ব
বলার অপেক্ষা রাখে না। সভ্যতার শুরত থেকে মানবগোষ্ঠী একে অন্যের সাথে ব্যবসা
বাণিজ্যে লিপ্ত। সভ্যতার ত্রুমবিকাশের সাথে সাথে বাণিজ্যের পরিধি ও পরিমান উভয়ই
বাড়ছে। সে সংগে বাড়ছে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। মোটকথা, ব্যবসা বাণিজ্যের পরিমন্ডলে
আমতর্জাতিকতার ছাপ ত্রুমশঃ সুষ্পস্ট হয়ে উঠেছে। তবে চিমতা চেতনায় জাতীয়বাদের
অহমিকা একটা বড় সহান জুড়ে রয়েছে। ফলে প্রতিটি দেশ, তা হোক ছোট কিংবা বড়, নিজের
মূদ্রা চালু রেখেছে। বহু বছরের চিমতা ভাবনা এবং শলাপরামর্শের পর অবশেষে ইউরোপীয়
ইউনিয়নভূত্তু ১২ টি দেশ তাদের নিজস্ব মূদ্রা অবলুপ্ত করে ইউরো নামে এক অভিন্ন
মূদ্রা চালু করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, মূদ্রা ব্যবসহায় স্বকীয়তা বজায় রাখার তাগিদে
বৃটেন, সুইডেন এবং ডেনমার্ক এ ব্যবসহায় আপাতত অংশগ্রহণ করেনি।
এ দুটো পরস্পরবিরোধী ধ্যান ধারণা যাকে ফরাসী
অর্থনীতিবিদ পিরোউ অভিহিত করেছেন, ইন্টারন্যাশনালিজম অব ট্রেড এন্ড ন্যাশনালিজম অব
কারেন্সীস থেকেই জন্ম নিয়েছে ফরেন এক্সচেঞ্জ। ভিন্ন ভিন্ন মূদ্রা আছে বলেই তাদের
পরস্পরের বিনিময় হার রয়েছে, সে সংগে রয়েছে বিনিময় হারে হ্রাস বৃদ্ধি। বিনিময়
চাহিদা মেটাবার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে ফরেন এক্সচেঞ্জ। কল্পনা করা যেতে পারে যে,
আগামী পৃথিবীতে এমন একটি মূদ্রার হয়ত উদ্ভব ঘটবে যা স্বদেশে এবং বিদেশে
বিনিময়যোগ্য এবং বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সে পরিসিহতিতে ফরেন
এক্সচেঞ্জের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে। আইএমএফ এর উদ্যোগে প্রবর্তিত এসডিআর সীমিত আকারে
হলেও আমতর্জাতিক বিনিময় মূদ্রা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ত্রুমশঃ জনপ্রিয়
হয়ে উঠছে। সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে সম্পাদিত আমতর্জাতিক পণ্য ত্রুয়-বিত্রুয়
চুত্তিুতেও এসডিআর রেফারেন্স কারেন্সী হিসেবে ব্যবহদত হয়ে আসছে।
বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণঃ
আমতর্জাতিক বা বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণসমূহকে
ধ্রতপদী ও আধুনিক এই দুই মতামতের উপর ভিত্তি করে ভাগ করা যায়। নিমেণ এ সম্পর্কে
আলোচনা করা হল-
ধ্রতপদী মতামতঃ
ক) উৎপাদন ক্ষমতার পার্থক্যঃ পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতার পার্থক্য রয়েছে। এটিই ফরেন এক্সচেঞ্জের মূল কারণ।
পৃথিবীর সকল দেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়। সকল প্রকার মৃত্তিকা কৃষিজ সম্পদ সৃষ্টির
জন্য সমান উপযোগী নয়। তাই কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আবার
বিশ্বের সর্বত্র উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ সমপরিমানে পাওয়া যায় না। এই কারণে কোন দেশ
কোন বিশেষ দ্রব্য উৎপাদনে পারদর্শিতা অর্জন করেছে। যেমন বাংলাদেশ পাট উৎপাদনে ও
মিসর তুলা উৎপাদনে পারদর্শিতা অর্জন করেছে। এমতাবসহায়, বাংলাদেশ যদি পাট এবং মিসর
যদি তুলা উৎপাদনে নিয়োজিত থাকে এবং বাংলাদেশ মিসরের নিকট পাট রপ্তানী করে এবং
মিশরের নিকট তুলা আমদানী করে তবে উভয় দেশই লাভবান হবে। অর্থাৎ উৎপাদন ক্ষমতার
পার্থক্যই হলো আমতর্জাতিক বাণিজ্যের মূল কারণ।
খ) আমতর্জাতিক শ্রম বিভাগঃ প্রত্যেক ব্যত্তিু তার
সামর্থ্য ও সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী যে কাজে দক্ষ সে কাজে আতণনিয়োগ করে যে দ্রব্য
সামগ্রী উৎপাদন করে তার বিনিময়ে অপরের থেকে সে তার প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ
করে। এরদপে মান সমাজে শ্রমবিভাগের সৃষ্টি হয়েছে। এই শ্রমবিভাগই আমতর্জাতিক
বাণিজ্যের মূল কারণ। ব্যত্তিু বা কোন একটি অঞ্চলের মত প্রত্যেক দেশও তার প্রয়োজনীয়
সকল দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম নয়।
ব্যত্তিু বা কোন একটি অঞ্চলের মত প্রত্যেক দেশও তার প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যসামগ্রী
উৎপাদনে সক্ষম নয়। ফলে প্রত্যেক দেশ তার সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন
দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং সেগুলোর বিনিময়ে অন্যান্য দেশ থেকে তার প্রয়োজনীয়
দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ করে। সুতরাং যে কারণে এক দেশের অমতর্গত বিভিন্ন অঞ্চলের
মধ্যে পণ্য বিনিময় হয়, সেই একই কারণে দুটি সার্বভৌম দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংঘটিত
হয়। উভয়ের ভিত্তিই শ্রমবিভাগ বা বিশেষায়ণ। প্রথমটি হল সহানীয় বিশেষায়ণ এবং
দ্বিতীয়টি আমতর্জাতিক বিশেষায়ণ।
আধুনিক মতামতঃ
উপরের কারণ দুটি ধ্রতপদী অর্থনীতিবিদ এ্যাডাম
স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডে এবং জন স্টুয়ার্ট মিল এর দেয়া। ধ্রতপদী অর্থনীতিবিদগণের
দেয়া কারণে সমওষ্ট না হয়ে আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ বাণিজ্যের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা খুঁজে
বের করতে প্রয়াসী হয়েছেন। এক্ষেত্রে খুব গতিশীল ভূমিকা গ্রহণ করেছেন পোসনার। তার
মতে বাণিজ্য সংঘটিত হয় শুধুমাত্র যমএকৌশলের উৎকৃষ্টতার দ্বারা। যা এক দেশে অপর
দেশের চাইতে উন্নতমানের থাকতে পারে। দুটি দেশ একইরদপ সম্পদের অধিকারী হতে পারে,
কিমও, উভয়ে যমএকৌশল ক্ষেত্রে একই পর্যায়ে নাও অবসহান করতে পারে। তাই একদেশ অপরের
চাইতে আগে সম্পদের আবিস্কার করে তার উন্নতি সাধন করে রপ্তানী করতে পারে।
ত্রুাভিসের মতে, সাধারণতঃ বাণিজ্য মডেলের প্রধান
নির্ণায়ক হচ্ছে, প্রাপ্যতা বা সরবরাহ সিহতিসহাপকতা। সংক্ষেপে বিদেশে সরবরাহের
সিহতিসহাপকতা এবং দেশে অসিহতিসহাপকতা আমদানী বাণিজ্য ঘটায়, উৎপাদনের আপেক্ষিক
পুঁজি বা শ্রম নয়। আর একজন অর্থনীতিবিদ এস বি লিনডার যুত্তিু দেখিয়েছেন যে,
শিল্পজাত পণ্যের বাণিজ্যের কারণস্বরদপ ধরা যেতে পারে বিভিন্ন দেশের চাহিদার
অনুরদপতা। প্রাথমিক পণ্যের উৎপাদন গভীরভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে ফলে
এই সব উৎপন্নের বিশেষায়ন এবং বাণিজ্যের ধরণ ইত্যাদির ব্যাখ্যা দান প্রসংগে
দেশসমূহের নিজ নিজ সম্পদ প্রাপ্যতার প্রতি দৃষ্টি নির্বন্ধ রাখতে হবে। অপরদিকে,
শিল্প গড়ে উঠে দেশী বাজারে চাহিদা থাকার দরতন এবং দেশ তখনই পণ্য রপ্তানী করতে
সমর্থ হয়, যখন বাজারের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বৃহদায়তন উৎপাদন সম্ভব হয় এবং
আমতর্জাতিক বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বৈদেশিক বাজার হচ্ছে
সেটিই যেখানে চাহিদার গঠন একইরদপ অর্থাৎ মাথাপিছু আয় সমমানের। তাহলে দেখা যাচ্ছে
যে, বাণিজ্য তখনই ঘটে যখন দেশসমূহের মধ্যে মিল থাকে।
প্রকৃতপক্ষে আমতর্জাতিক বাণিজ্য শুধুমাত্র
ধ্রতপদী বা আধুনিক কারণেই সংঘটিত হয় না, ধ্রতপদী এবং উভয় কারণের যৌথ প্রয়াসেই্
আমতর্জাতিক বাণিজ্য সংঘটিত হয়।
২) ডকুমেন্টারী ত্রেুডিট কাকে বলে? ডকুমেন্টারী
ত্রেুডিট ও নেগোশিয়েটিং ব্যাংক, ওপেনিং ব্যাংক, এ্যাডভাইজিং ব্যাংক এবং পেয়িং
ব্যাংক এর অধিকার বা দায়িত্ব কি?
ডকুমেন্টারী ত্রেুডিট বহুবিধ নামে পরিচিত- লেটার
অব ত্রেুডিট, কমার্শিয়াল ত্রেুডিট, রিভলবিং ত্রেুডিট ইত্যাদি। যে নামেই অভিহিত করা
কোন না কেন, ডকুমেন্টারী ত্রেুডিট প্রকৃতপক্ষে এক ধরণের গ্যারান্টি। এ গ্যারান্টি
দেয় ব্যাংক এবং তার মর্মার্থ এই যে, বিত্রেুতা যদি ডকুমেন্টারী ত্রেুডিট উল্লিখিত
পণ্যসামগ্রী নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক সরবরাহ করে দলিল-দসতাবেজ উপসহাপন করে তাহলে
ব্যাংক ত্রেুতার তরফ থেকে মূল্য পরিশোধের ব্যবসহা করবে।
ডকুমেন্টারী ত্রেুডিটে ত্রেুতাকে বলা হয়
আবেদনকারী। বিত্রেুতার সাথে ত্রেুতার ত্রুয় বা বিত্রুয় চুত্তিুতে উল্লেথিক শর্ত
উল্লেখ করে ত্রেুতা তার ব্যাংককে উত্তু শর্তাবলী সন্নিবেশ করে লেটার অব ত্রেুডিট
ইস্যু করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। ত্রেুডিট ইস্যু করার জন্য নির্দেশ প্রদান
করে। ত্রেুডিট ইস্যু করার পূর্বে ব্যাংক অবশ্য এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেয় যে,
ত্রেুডিটে উল্লেখিত মূল্য পরিশোধের জন্য গ্রাহকের এ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স
রয়েছে অথবা এজন্য অন্য কোন সমেতাষজনক ব্যবসহা গ্রহণ করা হয়েছে।
নেগোশিয়েটিং ব্যাংকের দায়িত্বঃ ১) রপ্তানীকারক
কর্তৃক পেশকৃত দলিলপত্র সমূহ সংশোধন করে পুনরায় উপসহাপনের জন্য ফেরত প্রদান করতে
পারে। ইউসিপিডিসি এর ৪৩ এবং ৪৪ ধারা মতে প্রত্যয়পত্রের শর্ত মোতাবেক প্রত্যয়পত্রের
শর্ত মোতাবেক মেয়াদ অতিত্রুামত হওয়ার পূর্বে বা দলিলপত্র সমূহ ফেরত প্রদানের তারিখ
হতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুনরায় পেশ করতে হবে। এই সময়টাকে অর্থাৎ পণ্য
প্রেরণের পর দলিল পত্রাদি উপসহাপনের সময়কাল থেকে প্রত্যয়পত্রের মেয়াদ অতিত্রুামত
হওয়ার পূর্ববর্তী সময়কালকে সংশোধনের জন্য উত্তম সময় হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ২)
গরমিল বা অসংগতি থাকা সত্তেবও বিত্রেুতাকে বিলের পাওনা পরিশোধ করা যাবে কিনা সে
সম্পর্কে আমদানীকারকের ব্যাংক বা ইস্যুয়িং ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ করা যায়। ৩)
ইস্যুয়িং ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে দলিলপত্র সমূহ যাচাই করার জন্য ইস্যুয়িং
ব্যাংক এর নিকট প্রেরণ করা যায়। ৪) বিল ত্রুয়ের পরিবর্তে সংগ্রহের ভিত্তিতে
প্রেরণের জন্য বিলটি গ্রহণ এবং এই পদ্ধতিতে রপ্তানীমূল্য প্রাপ্তির পরই কেবলমাত্র
মূল্য পরিশোধ করা যায়। ৫) কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক বিত্রেুতার পাওনা অর্থ তার
হিসাবে ত্রেুডিট করে ডকুমেন্টগুলো আন্ডার রিজার্ভ ত্রেুতার ব্যাংকের কাছে পাঠাতে
পারে।
ওপেনিং ব্যাংক এর দায়িত্বঃ ১) ইস্যুয়িং ব্যাংক
তার গ্রাহকের অনুরোধে বা নির্দেশে নির্দিষ্ট কাগজপত্র ও দলিলাদি উপসহাপন করবে এবং
এলসি এর শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে রপ্তানীকারককে বিনিময়মূল্য পরিশোধের ব্যবসহা করবে।
২) ইস্যুয়িং ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত অপ্রত্যাহারযোগ্য প্রত্যয়পত্রে
সুনির্দিষ্টভাবে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করতে হবে যে, প্রত্যয়পত্রের শর্ত মতে
দলিলাদি মনোনীত কোন ব্যাংকে বা ইস্যূুয়িং ব্যাংকে উপসহাপন করতে হবে। ৩) যখন
ইস্যুয়িং ব্যাংক অন্য একটি ব্যাংককে প্রত্যয়পত্রের শর্ত মতে দলিলাদি গ্রহণ বা
নেগোশিয়েট করার জন্য অনুমোদন প্রদান করে সেই ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদানকারী ব্যাংককে
উপরোত্তু কার্যাদি সম্পাদন সাপেক্ষে ইস্যুয়িং ব্যাংক কর্তৃক পুনভরণ দিতে হবে। ৪)
যখন টেলিযোগাযোগে ফূল ডিটেইলস ফলোজ উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রে ওপেনিং ব্যাংক
কালবিলম্ব না করে প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তা সংশোধন করবে।
এ্যাডভাইজিং ব্যাংকঃ
ইস্যুয়িং
ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়পত্র যখন অন্য একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানীকারককে
এর সুষ্ঠুতা সম্পর্কে অবহিত করা হয় তখন একে এ্যাডভাইজিং ব্যাংক বলে। এক্ষেত্রে
এ্যাডভাইজিং ব্যাংকের কোন অংগীকার থাকে না তবে এ্যাডভাইজিং ব্যাংক যদি
প্রত্যয়পত্রটি অবহিত করার জন্য মনসহ করে সেক্ষেত্রে তখন তাকে প্রত্যয়পত্রের সঠিকতা
সম্পর্কে অবশ্যই সতর্কতার সাথে যাচাই করে অবহিত করতে হবে। আর যদি এ্যাডভাইজিং
ব্যাংক অবহিত না করতে চায় সেক্ষেত্রে বিলম্ব না করে ইস্যুয়িং ব্যাংককে বিষয়টি
জানাতে হবে।
৩) ফরওয়ার্ড এক্সচেঞ্জ রেট কাকে বলে? ফরোয়ার্ড
এক্সচেঞ্জ রেটের মাধ্যমে কোন ধরণের ঝুঁকি নিরসন করা যায়? কিভাবে ব্যাংক তা নিজস্ব
ঝুঁকি আচ্ছাদন করে? ফরোয়ার্ড এক্সচেঞ্জ এবং স্পট এক্সচেঞ্জ এবং স্পট এক্সচেঞ্জ এর
মধ্যে পার্থক্য কি?
ভবিষ্যতে কোন নির্দিষ্ট তারিখে অথবা নির্দিষ্ট
সময়ের পরিসরে চুত্তিুবদ্ধ বিনিময় হারে কোন ফরেন কারেন্সীর বিপরীতে সহানীয় মূদ্রা
অথবা অন্য কোন ফরেন কারেন্সী ডেলিভারির শর্তে ব্যাংকের সাথে তার গ্রাহকের অথবা
অন্য ব্যাংকের সাথে যে চুত্তিু হয় তাকে ফরোয়ার্ড এক্সচেঞ্জ লেনদেন বলে। বিশেষভাবে
লক্ষনীয় যে, ফরোয়ার্ড এক্সচেঞ্জ লেনদেনের অংক, ভ্যালূডেট অর্থাৎ কোন তারিখে লেনদেন
সংঘটিত হবে এবং তা কোনো বিনিময় হারে নিষ্পন্ন হবে এ সব বিষয়াদি আগেভাগেই সিহর করা
হয়। তবে, নিষ্পত্তির তারিখের পূর্বে টাকা-পয়সার লেনদেন হয় না। এ ব্যবসহার আওতায়
লেনদেন ভবিষ্যতে যে তারিখে সংঘটিত হবে বলে নির্ধারণ করা হয় সে তারিখে বিনিময় হার
যাই হোক না কেন তা চুত্তিুবদ্ধ হারেই সম্পন্ন হবে।
ফরোয়ার্ড এক্সচেঞ্জ সম্পর্কিত চুত্তিুপত্র
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পাদিত হয়। এতে যে শর্তাবলী সন্নিবেশিত থাকে তা হচ্ছে- লেনদেন
নিষ্পত্তির তারিখ অথবা সময়কাল, চুত্তিুর অংক, বিনিময় হার, ডেলিভারি সংঘটনের সহান।
ঝুঁকি আচ্ছাদনঃ ১) অগ্রিম বিত্রুয়ের বেলায় ব্যাংক
তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কেন্দ্রের টিটি, এমটি অথবা চেক ড্রাফট বা যে কোন বিনিময়যোগ্য
দলিল দর্শনামেত পরিশোধের জন্য তহবিল হসতামতরের ব্যবসহা নিতে পারে। বৈদেশিক মূদ্রা
অগ্রিম ত্রুয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকার সাধারণত অপেক্ষাকৃত কম দরে ত্রুয় করে তা বিত্রিু
করবে এবং বাজারের অবসহান বুঝে স্পট বা অগ্রিম হারে ত্রুয় করতে পারে। উল্লেখ্য যে,
তাৎক্ষণিকভাবে টিটি, এমটি বিত্রিু হলে ব্যাংকের সিহতি হ্রাস পাবে বিপরীতে অগ্রিম
ত্রুয়ের ক্ষেত্রে সিহতি ভবিষ্যত এর কোন তারিখে হ্রাস পাবে। ২) যদি বাজারে প্রাপ্তি
যোগ হয় সেক্ষেত্রে অগ্রিম বিত্রুয়ে ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংক ইউসেন্স বিল ত্রুয় করতে
পারে বা নির্দিষ্ট তারিখের কাছাকাছি সময়ে যে বিল পূর্ণতা লাভ করে থাকে এমন বিল
ত্রুয় করতে পারে বা যে তারিখে নিজস্ব
বৈদেশিক বাজারে টিটি ত্রুয় হলো ঐ একই তারিখে অগ্রিম বাজারে টিটি বিত্রুয় করা যেতে
পারে। ৩) যে সমসত লেনদেনে ত্রুয় বিত্রুয় দুটোই থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংকার তার
বিদেশী এজেন্টের নিকট বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে স্বদেশী মুদ্রায় বিত্রুয়ের ব্যবসহা
নিতে পারে। এটি একই দিনে তার গ্রাহকের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন বা অগ্রিম হারে
হতে পারে। ৪) ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন মুদ্রা যুগ্মভাবে নগদ ত্রুয় এবং একই
মুদ্রা অগ্রিম বিত্রুয়ের ব্যবসহা করা যেতে পারে। একে সোয়াপ অপারেশন বলে।
স্পট রেট ও ফরোয়ার্ড রেটের মধ্যে পার্থক্যঃ
স্পট রেটঃ স্পট রেট বলতে তাৎক্ষণিকভাবে যে রেটে
লেনদেন করা হয় তাকে বুঝানো হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তাৎক্ষণিক বলতে সাধারণত দুইদিন
পরে আদানপ্রদান হবে এমন সময়কে বুঝানো হয়। তাৎক্ষণিক হারের উপর ভিত্তি করে অগ্রিম
হার নির্ধারণ করা হয়। স্পট হারের তুলনায় কোন কারেন্সীর আগাম হার যদি ব্যয়বহুল হয়
তবে তাকে বলে প্রিমিয়াম এবং সসতা হলে তাকে বলে বাট্রা। ডাইরেক্ট কোটেশন বা পেন্স
রেট এ দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্পট রেট এর সাথে প্রিমিয়াম যোগ এবং ডিসকাউন্ট বিয়োগ
করতে হয়। অপর পক্ষে ইনডাইরেক্ট রেট বা কারেন্সী রেট এর সময় উল্টো ব্যবহার করতে হয়।
ফরোয়ার্ড রেটঃ ফরোয়ার্ড রেট বলতে ভবিষ্যৎ এর কোন
তারিখে চুত্তিু মোতাবেক বিনিময় হারে লেনদেনটি সম্পন্ন হবে বুঝায়। এই ব্যবসহায়
পূর্বে সম্পাদিত চুত্তিুবদ্ধ হারে ভবিষ্যৎ এর কোন তারিখে লেনদেন হবে তা সিহর করা
থাকে। অগ্রিম বিনিময় হার স্পট রেট এর উপর ভিত্তি করে প্রিমিয়াম অথবা ডিসকাউন্ট
রদপে প্রকাশ করা হয়। প্রিমিয়াম এর অর্থ ভবিষ্যৎ ডেলিভারির ক্ষেত্রে মূল্য অধিকতর
ব্যয়বহুল। অপরপক্ষে ডিসকাউন এর উল্টো অর্থ প্রকাশ করে।
৪) বাংলাদেশে ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটের বৈশিষ্ট
কি? ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট গতিশীল করতে হলে কি কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন?
অর্থনীতির ন্যায় বাংলাদেশের বিনিময় বাজারও
অনুন্নত, বৈচিত্রহীন এবং ধীর লয় সম্পন্ন। বিশ্ব বিনিময় বাজারে বাংলাদেশের উপসিহতি নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের মুদ্রা
বাজারে লেনদেন ঘটে মূলতঃ কাস্টমারদের চাহিদা মেটানোর জন্য। যেমন আমদানীকারক এবং
অন্য যারা বিদেশে অর্থ প্রেরণ করতে চান তাদের কাছে ব্যাংক টাকার বিনিময়ে ফরেন
কারেন্সী বিত্রিু করে। রপ্তানীকারক এবং বিভিন্ন মাধ্যমে যারা বিদেশ থেকে বৈদেশিক
মূদ্রা দেশে আনেন তাদের কাছ থেকে ব্যাংক বৈদেশিক মূদ্রা ত্রুয় করে থাকে। ব্যাংকের
নিজস্ব হিসেবে দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য সীমিত পরিমান বৈদেশিক মূদ্রার ব্যালান্স
রাখার অনুমোদন রয়েছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিময় বাজারে যারা অংশগ্রহণ করে
থাকে তাদের প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ ক) বাংলাদেশ ব্যাংক খ) বাণিজ্যিক
ব্যাংক গ) জনসাধারণ
জনসাধারণ যেমন বৈদেশিক মূদ্রা ত্রুয়-বিত্রুয়ের
জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের শরনাপন্ন হন তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ
ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কেবলমাত্র মার্কিন ডলার
কেনা বেচায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাথে লেনদেন করে। অবশ্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন
ব্যবসহার আওতায় ইউনিয়নভূত্তু দেশগুলোর কারেন্সী কেনাবেচা করে থাকে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট গতিশীল করায় পদক্ষেপঃ
ক) ডিলিং রতমঃ প্রাথমিক পর্যায়ে সুসজ্জিত,
পূর্ণাঙ্গ এবং ব্যয়বহুল ডিলিং রতম সহাপনের প্রয়োজন নেই। তবে যে সব ব্যাংকের লেনদেন
বেশি তারা ফরেন এক্সচেঞ্জ কার্যত্রুম কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য ডিলিং রতম
সহাপন করে তাদের কার্যত্রুম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। শুরততে একটি বড় আকারের
ডিলিং রতম সহান করে তাকে প্রয়োজনীয় প্রযুত্তিু ব্যবহার করতে হবে।
খ) জনবল এবং প্রশিক্ষণঃ গ) কাঠামোগত
বিন্যাস-ডিলিং রতম এবং ব্যাক অফিসের কর্মকর্তাদের তাদের একে অন্যের কাজে হসতক্ষেপ
করতে পারবে না। কাঠামোগত বিন্যাস থাকতে হবে ঘ) ব্যাক অফিস- নস্ট্র এ্যাকাউন্ট
মনিটরিং এবং সমন্বয় সাধন ঙ) যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় ব্যবসহা
৫) বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার নিয়মএন ব্যবসহার
বৈশিষ্ট্য কি? অথরাইজড ডিলারদের কার্যাবলী বর্ণনা কর।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিয়মএন ব্যবসহার
বৈশিষ্ট্যঃ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বৈদেশিক মূদ্রার নিয়মএন ব্যবসহার বেশ
কিছু বিধি নিষেধ শিথিল করা হলেও নিয়মএনের পরিধি এখনও অনেকখানি বিসতৃত। আমদানী ও
রপ্তানীসহ সব ধরনের লেনদেনের জন্য সুসংবদ্ধ নিয়ম-কানুন অক্ষুন্ন রয়ে গেছে।
ক) রপ্তানী মূল্য প্রত্যাবসনঃ এ পদ্ধতির আওতায়
বিদেশে রপ্তানী করার পূর্বে কোন অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানী মূল্য আদায়ের
ব্যবসহা করা প্রয়োজন পড়ে। রপ্তানীকারক কর্তৃক রপ্তানী পণ্যের বর্ণনা, ত্রেুতার
বিবরণ, ত্রেুতার বিবরণ, বিত্রুয় মূল্য ইত্যাদি তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সরবরাহ
করার জন্য ই এক্স পি ফরম নামে একটি ফরম প্রবর্তন করা হয়েছে। এ ফরম ব্যাংক এবং
শুল্ক বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠাতে হয়। এ ফরমের ভিত্তিতে
রপ্তানী মূল্য প্রত্যাবর্তনের উপর বাংলাদেশ ব্যাংক তদারকী করে
খ) রিটেনশন কোটাঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়মএন বিধিমালা
শিথিল করার প্রেক্ষিতে রপ্তানীকারকদের জন্য রিটেনশন কোটা প্রবর্তন করা হয়েছে। এ
ব্যবসহায় রপ্তানী মূল্যের ৫০% তারা ব্যাংকের সাথে ফরেন কারেন্সী এ্যাকাউন্টে জমা
রাখতে পারবে। অপেক্ষাকৃত অধিক আমদানি উপকরণ দ্বারা প্রসতুত দ্রব্য যেমন ন্যাফতা,
তৈরি পোষাক, বিটুমিন এর ক্ষেত্রে রিটেনশন কোটার হার ১০%।
গ) আমদানী মূল্য পরিশোধঃ দেশের আমদানী নীতি
বাংলাদেশ সরকার প্রণয়ন করে থাকেন। এ নীতিতে কি কি দ্রব্য কোন কোন উৎস থেকে কি
পরিমান এবং কোন পদ্ধতিতে আমদানী করা যাবে তা উল্লেখ থাকে। তবে আমদানী মূল্য পরিশোধ
সংত্রুামত নিয়ম-কানুন বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ হতে সিহর করা হয়। আমদানীর ছদ্মবেশে
দেশ হতে ফরেন এক্সচেঞ্জ পাচারের প্রবণতারোধ করাই এসব বিধি বিধানের অন্যতম প্রধান
লক্ষ্য।
ঘ) ব্যত্তিুগত খাতে বিদেশে অর্থ প্রেরণঃ বাংলাদেশ
থেকে অনেকে বিদেশে যান। তারা প্রতি ভ্রমণের সময় কি পরিমান ফরেন এক্সচেঞ্জ সাথে
নিয়ে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় নির্দেশ জারি করে থাকে।
নির্ধারিত ফরম, যা টিএম ফরম নামে পরিচিত, দাখিল করে অনুমোদিত যে কোন ব্যাংকের
মাধ্যমে ফরেন এক্সচেঞ্জ সংগ্রহ করা যেতে পারে।
ঙ) বাণিজ্যিক খাতে অর্থ প্রেরণঃ বাংলাদেশ থেকে
বিভিন্ন সূত্র থেকে উৎসারিত আয় কিংবা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিদেশে অর্থ প্রেরণ করার
হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে - বিদেশী এয়ারলাইন্স ও জাহাজ কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশ
টাকায় যাত্রী ও মাল পরিবহন বাবদ সংগৃহীত অর্থ, বিদেশ থেকে জাহাজ ত্রুয় বা চার্টার,
বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ, বিদেশে শাখা বা অফিস সহাপন, বিদেশী কনসালটেন্ট নিয়োগ, বিদেশসহ ব্যাংকের নানা ধরনের ফিস এবং চার্জ
ইত্যাদি।
চ) অন্যান্য নিয়মএনমূলক বিধি-বিধানঃ বাংলাদেশ
ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য বিধি নিষেধ নিমণবর্ণিত কার্যত্রুমের উপর প্রযোজ্য
হয়ে থাকেঃ দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলো কর্তৃক বিদেশী কিংবা বিদেশে অবসহানরত
বাংলাদেশের নাগরিকদের নামে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা এবং পরিচালনা, কারেন্সী নোটস,
ধাতব মূদ্রা এবং স্বর্ণ আমদানী কিংবা রপ্তানী, বিদেশী কোম্পানীসমূহকে ব্যাংক ঋণ
প্রদান, রি-ইন্স্যুরেন্স বাবদ বিদেশে অর্থ প্রেরণ, বিদেশ ভ্রমণের জন্য টিকেট
ইস্যুকরণ।
অথরাইজড ডিলারদের কার্যাবলীঃ
আমদানীর ক্ষেত্রেঃ বাংলাদেশে আমদানী যোগ্য সমসত
পণ্য আমদানী লাইসেন্স ও প্রত্যয়পত্রের ফর্ম ব্যতিরকে আমদানী করা যায় না এজন্য
আমদানীযোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যয়পত্র খোলা বাধ্যতামূলক এবং যাতে বৈদেশিক
মূদ্রা যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা না যেতে পারেসেজন্য প্রত্যয়পত্র খোলার পূর্বে
আমদানী লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। ব্যাংক যে ফরমের মাধ্যমে আমদানির অনুমোদন দেয়
তাকে লেটার অব ত্রেুডিট অথরাইজেশন ফর্ম বলে। অনুমোদিত ডিলারকে আমদানীকারকের
অনুরোধে প্রত্যয়পত্র খোলার সময় তার পূরণকৃত লেটার অব ত্রেুডিট অথরাইজেশন ফরমের
সাথে নিমেণাত্তু দলিলপত্রাদির শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হয়। ক) আমদানীকারক
কর্তৃক পূরণকৃত এবং স্বাক্ষরিত এলসি এর দরখাসত খ) ত্রুয় বিত্রুয় চুত্তিু, ইনডেন্ট
অথবা প্রোফরমা ইনভয়েস গ) ইন্স্যুরেন্স কভার নোট ঘ) বণিক সমিতি হতে বৈধ সদস্য
হিসাবে প্রত্যয়ন পত্র ঙ) আমদানী নিবন্ধন সনদপত্রের নবায়ন ফি পরিশোধের সনদপত্র চ)
আয়কর পরিশোধ করেছেন এই মর্মে ঘোষণাপত্র ইত্যাদি। যে সব পণ্যের আমদানীর জন্য
বৈদেশিক মূদ্রা মঞ্জুর করা হয় তা দেশের মধ্যে ঠিকমত পৌছে কিনা অর্থাৎ বৈদেশিক
মূদ্রার ব্যবহার ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা বাংলাদেম ব্যাংক আইএমএফ নামক একটি বিশেষ
পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়মএন করে থাকে। এই পদ্ধতির অধীনে আমদানীর বিবরণসহ এর মূল্য বাবদ
সমসত লেনদেনের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হয়। উল্লেখ্য যে, কাগজপত্র এলসি খোলার
৪(চার) মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে উপসহাপন করতে হয়। এ ব্যাপারে ব্যর্থ হলে ১৯৪৭
সালে বৈদেশিক বিনিময় আইন অনুযায়ী আমদানীকারকের বিরতদ্ধে শাসিতমূলক ব্যবসহা গ্রহণ
করা যায়।
রপ্তানীর ক্ষেত্রেঃ বৈদেশিক নিয়মএন বিধিমালায়
অনুমোদিত ডিলারগণ রপ্তানীকৃত বৈদেশিক মূদ্রা পাচার রোধ কল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক
কর্তৃক প্রবর্তিত ইপিসি পদ্ধতির পাশাপাশি ইএক্সপি পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। এই
পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে রপ্তানীলদ্ধ বৈদেশিক মূদ্রার সমসত অংশটাই যেন ব্যাংকিং
চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের অভ্যমতরে প্রবেশ করতে পারে সেদিকে সুগভীর দৃষ্টি রাখা। এ
জন্যে জাহাজে পণ্য দ্রব্যাদি তোলার পূর্বেই রপ্তানীর পূর্ণ বিবরণসহ কাস্টমসের নিকট
পেশ করতে হয়। যার এক কপি বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়ে থাকে। এই পদ্ধতির আর একটি
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রপ্তানীকারক পণ্য রপ্তানীর ৪(চার) মাসের মধ্যে
রপ্তানীলদ্ধ আয় দেশে পৌঁছানোর ব্যাপারে বাধ্য থাকবেন। যদি এই সময় অতিত্রুামত হয়ে
যায় এবং এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমোদন না থাকে সে ক্ষেত্রে রপ্তানীকারক ও
তার অনুমোদিত ব্যাংক উভয়ের বিরতদ্ধে ১৯৪৭ সালের বৈদেশিক নিয়মএন বিধি অনুযায়ী
বাংলাদেশ ব্যাংক শাসিতমূলক ব্যবসহা গ্রহণ করতে পারে।
৬) রপ্তানী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানীকারককে কি
কি সুবিধা দেয়া হয়? ব্যাংক আমদানী-রপ্তানী অর্থায়নের ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা প্রদান
করে থাকে?
রপ্তানীকারককে দেয় সুবিধাঃ
ক) উৎপাদনমূখী অর্থনীতি প্রণয়ন খ) বিনিময় হার
বাসতবভিত্তিক করণ গ) আমলাতামিএক জটিলতা দূরীকরণ ঘ) পশ্চাদমূখী শিল্প সহাপন ঙ)
ব্যাংক ঋণের ব্যবসহা চ) রপ্তানী নীতি প্রণয়ন
আমদানী রপ্তানী অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক
দেয় সুবিধাদিঃ
ক) রপ্তানী বীমা - রপ্তানী বাণিজ্য সংত্রুামত
বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ব্যাংক সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে বীমা পরিসি
দেয়ার ব্যবসহা করে।
খ) টাকা রদপামতরকরণ ট্র১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ টাকা
চলতি হিসাব বাবদ রদপামতরযোগ্য ঘোষণার ফলে রপ্তানীকারকদের জন্য সুবিধার ব্যপ্তি
বিসতৃত করা হয়েছে। এফওডবি রপ্তানী মূল্যের শতকরা ৪০% রপ্তানীকারকরা রিটেনশন কোটা
হিসেবে তাদের ফরেন কারেন্সী এ্যাকাউন্টে রাখতে পারে। তবে, কতিপয় কম মূল্যে সংযোজন
সম্বলিত দ্রব্য যথা ন্যাফতা, বিটুমেন, ফার্নেস অয়েল ইত্যাদি দ্রব্যের ক্ষেত্রে রিটেনশন
কোটার হার ৭.৫%। সেবা রপ্তানীকারকদের জন্যও ৭.৫% হারে রিটেনশন কোটার ব্যবসহা
রয়েছে। রপ্তানীকারক এ অর্থ বিদেশে অফিস সহাপন , বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার
করতে পারে।
গ) রপ্তানী উন্নয়ন তহবিল ঘ) ত্রেুডিট কার্ড ঙ) আমদানী রপ্তানী ঋণ চ)
বীমার রেয়াতি হার ছ) রাজস্ব সংত্রুামত সুযোগ সুবিধা জ) বিমানে পরিবহন সুবিধা ঝ)
পণ্য উন্নয়নে নমুনা আমদানী সুবিদা বৃদ্ধি ঞ) সিআইপি এবং রপ্তানী ট্রফি
৭) বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী মূল্য পরিশোধের জন্য কি
পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে ?
বাংলাদেশের অধিকাংশ পণ্যই যেহেতু আমতর্জাতিক
বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন, সেহেতু প্রায়শঃ রপ্তানীকারককে ত্রেুতার
পছন্দনীয় মূল্য পরিশোধ শর্তে রাজী হতে হয়। আমতর্জাতিক বানিজ্য ক্ষেত্রে সাধারণত যে
সব মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি ব্যবহদত হয়,ত তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলঃ
ক) ওপেন এ্যাকাউন্ট - ত্রেুতা বিত্রেুতার মধ্যে
দীর্ঘকাল যাবৎ সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকলে অথবা ত্রেুতা অত্যমত বিশ্বসত ও
নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত হলে এই মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই
পদ্ধতিতে বিত্রেুতা রপ্তানী পণ্য এবং এতদ্সংত্রুামত দলিলপত্র পূর্বেই ত্রেুতার
কাছে পাঠিয়ে দেন। ত্রেুতা চুত্তিু মোতাবেক দলিলপত্র অথবা পণ্য প্রাপ্তির পর মূল্য
পরিশোধকরেন।
খ) এ্যাডভান্স পেমেন্ট - এই পদ্ধতিটি সাধারণত
ব্যবহদত হয় না। কিমও রপ্তানীকারক যদি বৈদেশিক মূদ্রা সংকটাপন্ন দেশের কোন অপরিচিত
ত্রেুতার কাছে পণ্য বিত্রুয় করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে পণ্য জাহাজীকরণের পূর্বে
অগ্রিম মূল্য দাবি করা ছাড়া অন্য কোন গত্যমতর থাকে না। ত্রেুতা ও বিত্রেুতার মধ্যে
দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকলেও অগ্রিম মূল্য চাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ত্রেুতা
অগ্রিম মূল্য প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানী পণ্য সংগ্রহ এবং ত্রেুতার চাহিদামত পণ্য
প্রসতুতকরণে বিত্রেুতাকে সহায়তা দেন। যে কারণেই হোক না কেন, রপ্তানীকারক যদি
অগ্রিম মূল্য আদায় করতে সক্ষম হন, তাহলে অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে রপ্তানী দলিল
নেগোশিয়েট করার পরিবর্তে সরাসরি ত্রেুতার কাছে পাঠাতে হয়।
গ) বিল ফর কালেকশন - লেটার অব ত্রেুডিটের ব্যয়
লাঘবের উদ্দেশ্যে এবং কিছুটা নমনীয়তা বজায় রাখার জন্যে বিদেশী ত্রেুতা অনেক সময়
কালকশন ভিত্তিতে বিত্রেুতাকে রপ্তানী দলিলপত্র পাঠাতে নির্দেশ দেন। এই পদ্ধতি
ক্যাশ এগেইনস্ট ডকুমেন্টস নামে অভিহিত। এই পদ্ধতিতে বিত্রেুতা অনুমোদিত ডিলারের
মাধ্যমে বিনিময় বিলসহ সংশ্লিষ্ট রপ্তানী দলিলপত্র ত্রেুতার কাছে পাঠিয়ে থাকেন।
অনুমোদিত ডিলার কালেকশন ভিত্তিতে মূল্য আদায়ের জন্য ত্রেুতার দেশের কোন ব্যাংকের
কাছে পাঠিয়ে দেন। ত্রেুতা দেশের ব্যাংক রপ্তানীকারকের নির্দেশ মোতাবেক মূল্য
প্রদান সাপেক্ষে দলিলগুলো ত্রেুতার কাছে হসতামতর করে।
ঘ) কনসাইনমেন্ট সেল - চা এর মত কোন কোন পণ্য
বিদেশী ব্রোকার অথবা নিলাম প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়ে নিলামের মাধ্যমে বিত্রিু করার
রেওয়াজ চালু আছে। তারা বিত্রুয়ের পর বিত্রুয়মূল্য প্রেরণ করেন। মূল্য প্রেরণের
পূর্বে অবশ্য ব্রোকার বা নিলাম প্রতিষ্ঠান কমিশন ও ব্যয় বাবদ কিছু অর্থ কেটে রাখেন।
এটি মুত্তু হিসাব ভিত্তিক বিত্রুয়েরই অনুরদপ, পার্থক্য শুধু এটুকু যে, চালান
বিত্রুয়ের অধীনে পণ্যের অগ্রিম মূল্য নির্ধারিত হয় না এবং রপ্তানী দলিলপত্র সরাসরি
ত্রেুতার কাছে পাঠান লাগে না। বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রা নিয়মএন বিধি মোতাবেক
রপ্তানীকারককে ইএক্সপি ফরমে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে রপ্তানী চালানোর আনুমানিক
মূল্যের ঘোষণা দিতে হয়। এছাড়া এক্ষেত্রেও চার মাসের মধ্যে বিত্রুয় মূল্য দেশে
আনয়নের ব্যবসহা নিতে হয়।
ঙ) লেটার অব ত্রেুডিট - আমতর্জাতিকভাবে ব্যবহদত
মূল্য পরিশোধ পদ্ধতির মধ্যে লেটার অব ত্রেুডিট সর্বাপেক্ষা গুরতত্বপূর্ণ। সারা
বিশ্বের ত্রেুতা ও বিত্রেুতার মধ্যে পণ্য বিনিময় ক্ষেত্রে লেটার অব ত্রেুটি সেতু
হিসেবে কাজ করে। লেটার অব ত্রেুডিট মূল্য প্রাপ্তি সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেয়।
লেটার অব ত্রেুডিট ত্রেুতার নির্দেশে তার ব্যাংক
বিত্রেুতার অনুকূলে মূল্য প্রদান করে এবং তা সাধারণত বাংলাদেশের কোন অনুমোদিত
ডিলারের মাধ্যমে রপ্তানীকারকের কাছে পাঠানো হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় আমদানীকারক লেটার অব ত্রেুডিটের আবেদনকারী অথবা
সংক্ষেপে শুধু ওপেনার যে ব্যাংক এলসি ওপেন করে তাকে এলসি ওপেনিং ব্যাংক লেটার অব
ত্রেুডিটের আগমী সংবাদ প্রদানকারী ব্যাংক এ্যাডভাইজিং ব্যাংক এবং রপ্তানীকারক
বেনিফিসিয়ারী নামে পরিচিত। লেটার অব ত্রেুডিট প্রকৃতপক্ষে রপ্তানীকারকের কাছে এই
মর্মে ওপেনিং ব্যাংকের একটি অঙ্গীকারপত্র যে, এতে উল্লিখিত শর্তাবলী অনুযায়ী পণ্য
প্রেরণ এবং দলিলপত্রের সম্পাদন করা হলে মূল্য প্রদান নিশ্চিত থাকবে।
৮) কালোবাজারঃ বাংলাদেশে ফরেন এক্সচেঞ্জের
কালেবাজার সম্পর্কে তেমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এর লক্ষণ
সুস্পষ্ট। কখনও বা দৃশ্যগোচর। বিমান বন্দরে, আমতর্জাতিক হোটেলগুলোর আশেপাশে ,
সীমামতবর্তী ঘাটিগুলোতে কালোবাজারীদের তৎপরতা লক্ষণীয়। এমনকি কয়েকটি ব্যাংকের
অঙ্গনে ও আশেপাশের অলিগলিতে তাদের গোপন তৎপরতার অনুরনন পাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যুকৃত মানি চেঞ্জার লাইসেন্সের আড়ালে তাদের কারবার চালিয়ে
থাকে। এরা কালোবাজারী তবে ক্ষুদ্র অবয়বের। দৃশ্যমান বলে হয়ত আইন প্রয়োগকারী
সংসহাগুলোর যা কিছু তৎপরতা তার দূর্ভোগ বা শাসিত
এরাই বেশি ভোগ করে। বড় বড় অপারেটর, পত্রিকাওয়ালারা যাদের বলেন রাঘব বোয়াল,
নিরাপদ দূরত্বে থাকেন। তাদের কর্মকান্ড দৃশ্যমান নয়, বিচরণক্ষেত্র প্রায়
বিশ্বব্যাপী এবং কলাকৌশল চাতুর্যপূর্ণ, কখনও তাতে থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এরা
কারেন্সী র্যাকটেয়ার। এরা সুসংগঠিত ও দক্ষ
এবং দ্রতততা এদের ট্রেডমার্ক। সময়ের পরিসরে গ্রাহককূলের কাছে এরা রাখতে পেরেছে
বিশ্বসততার স্বাক্ষর।
কালোবাজারের চাহিদা বা উৎসঃ
ক) স্মাগলিং খ) আন্ডার ইনভয়েসিং গ) মূলধন পাচার
ঘ) বিলাস ভ্রমণ ঙ) বিবিধ উৎস
কালোবাজারে বৈদেশিক মূদ্রার যোগানঃ
ক) প্রবাসী বাঙ্গালী জনগোষ্ঠি খ) ইন্ডেন্টিং
কমিশন গ) অন্যান্য সূত্র
কালোবাজারে লেনদেন হয় কিভাবে?- কালোবাজারে যারা
কারবার করেন তাদের জোরালো সংগঠন রয়েছে। এদের সংগঠনগুলো গড়ে উঠেছে বহু জাতির
সংমিশ্রণে। এদের বিভিন্ন দেশে এই কালেকশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সংসহাগুলোর মাধ্যমে যে
ফরেন এক্সচেঞ্জ সংগ্রহ করা হয় তা সহানামতরিত হয়ে যায় সিঙ্গাপুর, হংকং, লন্ডন
প্রভৃতি কেন্দ্রে। সেখান থেকে স্মাগলিং, আন্ডার ইনভয়েসিং এবং মূলধন পাচারের জন্য উদ্ভূত চাহিদা পূরণের
ব্যবসহা নেয়া হয়। লেনদেনের জন্য হরেক রকমের পমহা অবলম্বন করা হয়, যার প্রধান
মাধ্যম হুন্ডি। হুন্ডি অবশ্য প্রেরণ করা হয় সাংকেতিক ভাষায়। এ জন্য রেকর্ডিং
ক্যাসেটেও ব্যবহারের কথা শোনা যায়। যাদের সাথে লেনদেন করতে হবে তাদের নাম ধাম
ক্যাসেটের মাধ্যমে সহযোগীদের জানানোর ব্যবসহা করা হয়। সহানীয়ভাবে টাকা পয়সা আদান
প্রদানের জন্য অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক এ্যাকাউন্টও ব্যবহার করা হয়।
কালোবাজার সামলানোর উপায়ঃ
আগেই বলা হয়েছে বিনিময় নিয়মএন ব্যবসহার কঠোরতার
কারণে গড়ে উঠে ফরেন এক্সচেঞ্জের কালোবাজার। আমরা যাকে কালোবাজারী বলি, বিনিময়
নিয়মএনমূত্তু উন্নত, এমনকি আধা-উন্নত দেশগুলোতে, তা কিমও আদৌ কালো নয়। নিয়মএন
ব্যবসহার কড়াকড়ি যতদিন চালু থাকবে কালোবাজার ততদিন তার অসিতত্ব টিকিয়ে রাখবে। দু
চারজনকে ধরপাকড় করে কালোবাজার কারবার বন্ধ করা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে কালোবাজার
স্বতমএ কোন ব্যধি নয়, ব্যধির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। কাজেই কালোবাজারী রোধ করতে হলে
ব্যাধির মূলের দিকে নজর দিতে হবে। কালোবাজারে চাহিদার অন্যতম প্রধান উৎস স্মাগলিং
বন্ধ করতে হলে আগ্ণেয়াসেএর যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন অর্থনৈতিক অসেএর।
অর্থনীতি সঠিক পথে পরিচালনা করা হলে এ উৎস নিজ থেকেই শুকিয়ে যাবে।
মূলধন পাচারও অন্য একটি বড় উৎস। অর্থনৈতিক মেরতকরণ
ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বিসতৃত করেছে। অসদুপায়ে অর্জিত ব্ল্যাক মানি নিরাপত্তার
খোঁজে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ব্ল্যাক মানির উৎস অজানা নয়। এ উৎস বন্ধ করার ব্যবসহা
নেয়া হলে বৈদেশিক মূদ্রার কালোবাজার আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। সর্বোপরি, দেশের
অর্থ এবং রাজনীতি বাসতবতার নিরিখে আমতরিকতার সাথে পরিচালনা করা হলে বৈদেশিক
মুদ্রার কালোবাজার খুব বেশি দুশ্চিমতার কারণ হয়ে দেখা দিবে না।
০১। বাংলাদেশে ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়মএন ব্যবসহার বৈশিষ্ট্যসমূহ কি? আপনি কি এ নিয়মএন ব্যবসহা প্রত্যাহারের পক্ষপাতি? কেন?
০১। বাংলাদেশে ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়মএন ব্যবসহার বৈশিষ্ট্যসমূহ কি? আপনি কি এ নিয়মএন ব্যবসহা প্রত্যাহারের পক্ষপাতি? কেন?
উত্তরঃ বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অন্যতম
প্রধান সমস্যা বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের সাথে ব্যয়ের অসংগতি। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সাথে
ব্যয়ের আধিক্যের কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ঘাটতি দেখা দেয়। ব্যালেন্স অব
পেমেন্টে ঘাটতি দূর করার প্রচেষ্টায় সরকার বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে নানা প্রকার
বিধি নিষেধ আরোপ করে থাকে। নিমেণ বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়মএনের বৈশিষ্টসমূহ
আলোচনা করা হলঃ-
ক) রপ্তানীর মূল্য প্রত্যাবশনঃ বাংলাদেশ থেকে
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রপ্তানীকৃত সকল পণ্যের মূল্য ৪ মাসের মধ্যে দেশে
প্রত্যাবর্তনের বিধান রয়েছে। জাহাজে পণ্য তোলার পূর্বেই রপ্তানীকারক পণ্যের বিবরণ,
ত্রেুতার নাম ও পণ্যের মূল্য ইত্যাদি বিবরণসহ ফরম পূরণ করে যাচাই বাছাইয়ের জন্য
ব্যাংক ও শুল্ক বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করে। আন্ডার ইনভয়েসিং এর
মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার রোধ কল্পে এ বিধান রাখা হয়েছে।
খ) অথোরাইজড ডিলারদের কাগজপত্র পরীক্ষাকরণঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত নীতি অনুযায়ী অথোরাইজড ডিলারগণ ফরেন এক্সচেঞ্জ লেনদেন
করছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মাঝে মাঝে অথোরাইজড ডিলারদের কাগজপত্র
পরীক্ষা করে।
গ) আমদানীর মূল্য পরিশোধঃ আমদানীর ছদ্মবেশে দেশ
হতে যাতে বৈদেশিক মূদ্রা পাচার না হয়ে যায় সে লক্ষ্যে সকল ধরণের আমদানীর ক্ষেত্রে
আমদানীকৃত মালামাল প্রকৃতপক্ষে দেশে আনা হয়েছে কিনা তার প্রমাণস্বরদপ বিল অব
এন্ট্রি শুল্ক বিভাগ কর্তৃক সত্যায়িত করে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের
অনুমোদিত তফসিলী ব্যাংকের কাছে দাখিল করতে হয়।
ঘ) ব্যত্তিুগত খাতে বিদেশে অর্থ প্রেরণঃ বাংলাদেশ
থেকে বিদেশে ভ্রমণের সময় কি পরিমান
বৈদেশিক মূদ্রা সাথে নিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক মাঝে মাঝে এ ব্যাপারে
নির্দেশ জারী করে থাকে। বিদেশে অবসহানরত বিভিন্ন পেশাগত সংসহার মেম্বারশীপ ফিস,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন ফিস ইত্যঅদি এ ব্যাংকে দরখাসত করে ২০০ ইউএস ডলার
পর্যমত বিদেশে প্রেরণ করতে পারে।
বিদেশী নাগরিকগণের অর্থ প্রেরণঃ বাংলাদেশে যে সব
বিদেশী নাগরিক কাজ করেন তাদের নীট আয়ের ৫০% বিদেশে পাঠাতে পারেন। মেয়াদ শেষে
আইনানুগভাবে তারা সঞ্চিত অর্থও স্বদেশে নিয়ে যেতে পারেন।
চ) অথোরাইজড ডিলারঃ বৈদেশিক লেনদেন পরিচালনার
জন্য কোন ব্যাংক কি পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারবে তা বাংলাদেশ
ব্যাংক নির্ধারণ করে দেয়।
ছ) বিবরণী প্রেরণঃ বাংলাদেশ ব্যাংক অথোরাইজড
ডিলারদের বৈদেশিক বিনিময় সংত্রুামত সকল ধরণের বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করতে
হয়।
জ) রিটেনশন কোটাঃ রিটেনশন কোটার অধীনে
রপ্তানীকারকগণ রপ্তানী মূল্যের ৫০% তাদের ফরেন কারেন্সী এ্যাকাউন্টে জমা রাখতে
পারেন। অপেক্ষাকৃত অধিক আমদানী উপকরণ দ্বারা প্রসতুতকৃত পণ্য যেমনঃ তৈরি পোষাক,
বিটুমিন ইত্যাদির ক্ষেত্রে রিটেনশন কোটার হার ১০%। বিদেশে অফিস সহাপন, রপ্তানী
পণ্যের পরিমানগত ঘাটতি ইত্যাদি অন্যান্য কারণে বিদেশী ত্রেুতাদের দাবী পরিশোধ,
ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিদেশে ভ্রমণ, সেমিনার বা বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের জন্য
রিটেনশন কোটায় রক্ষিত অর্থ ব্যয় করতে পারে।
ঝ) বাণিজ্যিক খাতে অর্থ প্রেরণঃ নিমেণাত্তু
ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক উৎস থেকে উপার্জিত অর্থ বিদেশে প্রেরণ করার বিধান রয়েছেঃ
-বাংলাদেশ বিমান ও জাহাজ কোম্পানী গুলো তাদের
বিদেশসহ অফিস বা এজেন্টদের কাজে প্রেরিতব্য অর্থ।
-বিদেশ থেকে জাহাজ ত্রুয় বা চার্টার।
-বিদেশী এয়ারলাইন ও জাহাজ কোম্পানী কর্তৃক
বাংলাদেশী টাকার যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বাবদ সংগৃহীত অর্থ।
-বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বদেশে মুনাফা
ও ডিভিডেন্ড ইত্যাদি প্রেরণ। এসব খাতে অর্থ প্রেরণ সংত্রুামত পদ্ধতি সম্পর্কে
বাংলাদেশ ব্যাংক মাঝে মাঝে নির্দেশ জারী করে।
ঞ) অন্যান্য বিধি নিষেধঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়মএনের
উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নিমেণাত্তু কার্যত্রুমের উপরও বিধি নিষেধ জারী করে
থাকেঃ
-কারেন্সী নোটস, ধাতব মুদ্রা ও স্বর্ণ আমদানী
কিংবা রপ্তানী।
-রি ইন্স্যুরেন্স বাবদ অর্থ বিদেশে প্রেরণ।
-বিদেশী কোম্পানীসমূহকে ব্যাংক ঋণ প্রদান।
দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলো কর্তৃক বিদেশী নাগরিক
কিংবা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকদের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা বা পরিচালনা।
বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিময় এর নিয়মএন ব্যবসহা
প্রত্যাহার যুত্তিুসংগত কিনা এ ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে। নিমেণ নিয়মএন ব্যবসহা বজায়
রাখার পক্ষে যুত্তু প্রদর্শন করা হলঃ
ক) লেনদেনের প্রতিকূল ভারসাম্যের কারণঃ- রপ্তানীর
পরিমান সীমিত হওয়ার জন্য অর্জিত বৈদেশিক মূদ্রা দ্বারা আমদানী মূল্য পরিশোধ করা
সম্ভব হচ্ছে না। তার উপর ফরেন এক্সচেঞ্জ এর উপর নিয়মএন তুলে দিলে লেনদেনের
প্রতিকূল ভারসাম্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
খ) বিলাস দ্রব্য আমদানীঃ বৈদেশিক মূদ্রার নিয়মএন
তুলে দিলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মূদ্রার দ্বারা বিলাস দ্রব্য আমদানীর পরিমান বৃদ্ধি
পাবে। ফলে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যাবে। ফলে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী
আমদানী করা যাবে না।
গ) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবেঃ খাদ্যদ্রব্যের
প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসই আমাদের আমদানী করতে হয়। বিনিময় নিয়মএন তুলে দিলে টাকার
বিনিময় মূল্য কমে যাবে। ফলে আমদানী দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাবে।
ঘ) দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হবেঃ বিনিময়
নিয়মএন ব্যবসহা তুলে দিলে আমাদের দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে সব দ্রব্য উৎপাদিত হয়
সেগুলোই বেশি আমদানী হবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান
ধ্বংস হয়ে যাবে।
ঙ) মূদ্রা পাচার বৃদ্ধি পাবেঃ নিয়মএন ব্যবসহা
তুলে দিলে অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অর্জি টাকা দ্বারা বৈদেশিক মূদ্রা ত্রুয় করে
বিদেশে পাচার করবে।ফলে মূলধন পাচারের পথ প্রশসত হবে।
উপরোত্তু প্রতিকূলতা স্বত্তেবও আধুনিক বিশ্বের
সাথে তাল মিলানেরা জন্য যুগোপযোগী ব্যবসহায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।
০২) বাংলাদেশে অথরাইজড
ডিলার ইন ফরেন এক্সচেঞ্জ এবং অথরাইজড মানি চেঞ্জারে দায়িত্ব কারা পালন করে?
বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা কি কি ভূমিকা রাখে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ব্যাংকই বৈদেশিক মূদ্রা ও
বৈদেশিক মূদ্রা নিয়মএণ সংত্রুামত কার্যাবলী পরিচালনা করে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশ
ব্যাংক সরাসরি জনসাধারণের সাথে কোন প্রকার লেনদেন করে না তাই বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশে কার্যরত দেশী বিদেশী ব্যাংকসমূহরে কিছু নির্ধারিত শাখাকে ফরেন এক্সচেঞ্জ
কার্যত্রুম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ফরেন
এক্সচেঞ্জ কার্যত্রুম পরিচালনার ক্ষমতা প্রাপ্ত ঐসব ব্যাংকের শাখা সমূহকে অথোরাইজড
ডিলার বলা হয়।
বৈদেশিক লেনদেন পরিচালনা করার জন্য কোন ব্যাংক কি
পরিমান ফরেন কারেন্সী দেশে কিংবা বিদেশে নিজেদের আয়ত্বে রাখতে পারবে তা বাংলাদেশ
ব্যাংক নির্ধারণ করে দেয়। বিভিন্ন ধরণের লেনদেনের জন্য কো কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা
যাবে তাও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেয়।
আমতর্জাতিক মানের হোটেল বা পর্যটন কেন্দ্র যেসব
জায়গায় বা যেসব সহানে বিদেশী লোকজন কেনাকাটা করে থাকে এসব স্পট-এ বৈদেশিক মূদ্রা
ভাঙ্গানো সহজ করার লক্ষ্যে নির্ধারিত মূল্যে শুধুমাত্র বৈদেশিক মূদ্রা ত্রুয় করার
লক্ষ্যে এক ধরণের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এদের অথোরাইজড মানি চেঞ্জার বলা হয়।
এদেরকে শুধুমাত্র নির্ধারিত বিনিময় হারে বৈদেশিক মূদ্রা ত্রুয় করে অন্য যে কোন
অথরাইজড ডিলার এর কাছে বিত্রুয় করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ফরেন এক্সচেঞ্জ ত্রুয়
ও বিত্রুয় উভয় কার্যত্রুমের সীমিত অধিকার প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ ধরণের
মানি চেঞ্জার লাইসেন্স প্রদান করেছেন। এরা ব্যাংক নোট, ট্রাভেলার্স চেক(২০০০ ডলার
পর্যমত) বিদেশে ভ্রমণের জন্য ইস্যু করতে পারে।
৩) বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ
আলোচনা করতন। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্যের গুরতত্ব কতখানি?
উত্তরঃ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। অন্যান্য
উন্নয়নশীল দেশের ন্যায় দেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরামিতত করা আর এর
জন্য প্রয়োজন হয় যথেষ্ট মূলধনের যা অভ্যমতরীণ উৎস হতে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের দিকে হাত বাড়িয়ে থাকতে হয়।
নিমেণ বাংলাদেশে প্রাপ্ত বৈদেশিক
সাহায্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হল-
ক) খাদ্য সাহায্যঃ বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান
দেশ। প্রতি বৎসর ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। উত্তু খাদ্য ঘাটতি পূরণের
লক্ষ্যে বিদেশ থেকে প্রতি বৎসর খাদ্য সাহায্য আসছে।
খ) বৈদেশিক সাহায্যের পরিমান হ্রাস পাচ্ছেঃ
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিসিহতিতে বাংলাদেশ আমতর্জাতিকভাবে গুরতত্ব হারাচ্ছে ফলে প্রতি
বৎসরই ত্রুমাগতভাবে বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস পাচ্ছে।
গ) প্রকল্প সাহায্যঃ আমাদের দাতা সংসহাগুলো
বিভিন্ন প্রকল্প বাসতবায়নের জন্য প্রকল্প সাহায্য দিয়ে থাকে। কিমও কনসালটেন্সী
ফিসের আধিক্য , অর্থ আতণসাত, নিমণমানের কার্য সম্পাদন ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ
প্রকল্প থেকেই তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘ) শর্তযুত্তু সাহায্যঃ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে
দাতা গোষ্ঠি বিভিন্ন প্রকার শর্ত জুড়ে দেয়- ওমুক খাতকে বিরাষ্ট্রিয়করণ করতে হবে,
তমুক খাতকে ভর্তূকি প্রদান বন্ধ করতে হবে। গ্যাসের দাম বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে
ইত্যাদি।
ঙ) আমতর্জাতিক সংসহাসমূহ হতে সাহায্যঃ ভিন্ন
আমতর্জাতিক সংসহাসমূহ যেমন- শিশু সংসহা, খাদ্য ও কৃষি সংসহাসহ অন্যান্য সংসহাসমূহ
বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরণের সাহায্য করে আসছে।
চ) আঞ্চলিক সংসহাঃ এডিবি সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক
সংসহাসমূহ প্রতি বৎসর বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্প বাসতবায়নে কারিগরী ও অর্থ
সাহায্য করচে
ছ) ইসলামিক সংসহাসমূহঃ আমতর্জাতিক ইসলামী
ব্যাংকসহ অন্যান্য ইসলামী দেশ ও সংসহাসমূহ বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ
সাহায্য ও বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সাহায্য করছে।
জ) দ্বিপাক্ষিক সাহায্যঃ জাপান, মার্কিন
যুত্তুরাষ্ট্র ও যুত্তুরাজ্য থেকে
দ্বিপাক্ষিকভাবে প্রতি বৎসর অর্থসহ নানা প্রকার সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment